Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

জাতীয় মহিলা সংস্থার ইতিহাস

মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলার মায়েরা-মেয়েরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন এবং বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন। তারা সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন, সহযোগিতা করেছেন। ১৯৭১ সালে যুদ্ধ পরিচালনা, যুদ্ধক্ষেত্রে অস্ত্র পরিচালনা, যুদ্ধাস্ত্র সরবরাহ, প্রশিক্ষণ দেয়া, চিকিৎসা সেবা, মুক্তিযোদ্ধাদের গোপনে আশ্রয় দান ও খাদ্য সরবরাহ, পাকসেনাদের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য আদান-প্রদান। যুদ্ধের স্বপক্ষে জনমত গঠন ও উদ্বুদ্ধকরণ, বেতার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামী জনগণকে উৎসাহ যোগানো ইত্যাদি নানাভাবে এই শ্যামল দেশের নারীরা জাতির প্রয়োজনের দিনে নির্ভীক ও অকুতোভয় চিত্তে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। 

১৯৭৪ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক “নারী বর্ষ” ঘোষিত হয় এবং আন্তর্জাতিক নারী দিবস আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি লাভ করে। ১৯৭৫ সালে জুলাই মাসে মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত প্রথম বিশ্ব নারী সম্মেলনে ১৯৭৬-১৯৮৫ সালকে “নারী দশক” হিসেবে ঘোষনার প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে নারী অধিকারের বিষয়গুলি উন্নয়নের কেন্দ্র বিন্দুতে চলে আসে। নারী উন্নয়ণে সরকারের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার রক্ষার্থে বাংলাদেশের সর্বস্তরের মহিলাদের সার্বিক উন্নয়ণ ও তাদের অবস্থার পরিবর্তনের লক্ষ্যে একটি সাংগঠনিক কাঠামো তৈরী করার জন্য সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের মহা-পরিচালককে নির্দেশ প্রদান করেন। তৎপ্রেক্ষিতে একটি মহিলা সংস্থার রূপরেখা প্রণীত হয়, যা জাতীয় মহিলা সংস্থা নামে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। পরবর্তীতে সংস্থার কার্যক্রমকে অধিকতর ফলপ্রসু ও জোরদার করার লক্ষ্যে ১৯৯১ সালের ৪ঠা মে তারিখে ৯ নং আইন বলে জাতীয় মহিলা সংস্থা একটি সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে রূপ নেয়।